• শুক্রবার ০২ জুন ২০২৩ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ১৮ ১৪৩০

  • || ১১ জ্বিলকদ ১৪৪৪

আজকের পটুয়াখালী
ব্রেকিং:
অর্থনীতিকে প্রাণবন্ত রাখার সর্বাত্মক চেষ্টা করছি: প্রধানমন্ত্রী অসংক্রামক রোগের ক্ষেত্রে মহামারি সৃষ্টি করছে তামাক: প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে সুইডেনের বড় বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী মুসলমানরা কেন পিছিয়ে পড়ল তা বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন এবারের বাজেট ৭ লাখ কোটি টাকা: প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীকে সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছে চীন শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক পরিবেশ আছে বলেই এগিয়ে যাচ্ছে দেশ সংঘাত নয়, আলোচনায় সমাধান চাই: প্রধানমন্ত্রী বিশ্বব্যাপী শান্তিরক্ষা প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বাংলাদেশ শান্তিরক্ষা মিশনে অন্যতম শীর্ষ শান্তিরক্ষী পাঠানো দেশ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতির আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সম্পর্ক উন্নয়নে বাংলাদেশ ও চীনের আরও মনোযোগী হওয়া উচিত: প্রধানমন্ত্রী পুলিশকে আরো জনবান্ধব হওয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর থেকে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করছে আমরা আর অশান্তি-সংঘাত চাই না, সবার উন্নতি চাই: শেখ হাসিনা শিল্পাচার্য জয়নুলের শিল্পকর্ম আগামী প্রজন্মকে সৃজনশীল কাজে অনুপ্রেরণা যোগাবে: রাষ্ট্রপতি এশিয়ার ‘আয়রন লেডি’ শেখ হাসিনা : দ্য ইকোনমিস্ট আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে: প্রধানমন্ত্রী কাতারের আমিরের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ কাতার সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী

শিশুর রোগ ডাউন সিনড্রম, কাদের ঝুঁকি বেশি?

আজকের পটুয়াখালী

প্রকাশিত: ২১ মার্চ ২০২৩  

শিশুরা এই রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। রোগের নাম ডাউন সিনড্রম।  প্রতি বছর ২১ মার্চ বিশ্ব ডাউন সিনড্রম দিবস হিসাবে পালন করা হয়। ১৮৬২ সালে ব্রিটিশ চিকিৎসক John Langdon Haydon এই অসুখটিকে চিহ্নিত করেন। তবে ১৯৫৯ সালের আগে এটির কারণ খুঁজে পাওয়া যায়নি। সেই বছর ফরাসি বিজ্ঞানী Jérôme Lejeune এটির কারণ খুঁজে পান।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, প্রতি বছর তিন থেকে পাঁচ হাজার শিশু এই সমস্যা নিয়ে জন্মায়।

কী এই ডাউন সিনড্রম: এটি জিনঘটিত একটি অসুখ। যাদের জিনে স্বাভাবিকের তুলনায় একটি ক্রোমোজোম বেশি থাকে, তাধের ক্ষেত্রে এই সমস্যাটি হয়। জন্মের সময়েই এই অসুখটির লক্ষণগুলো টের পাওয়া যায়।

ডাউন সিনড্রমের লক্ষণগুলো কী কী: চিকিৎসকরা বলছেন, এই সমস্যায় শিশুদের বুদ্ধির বিকাশ স্বাভাবিকের তুলনায় ধীরে হয়। শিশুদের শারীরিক বিকাশও ঠিক করে হয় না।

এছাড়াও যে সমস্যাগুলো দেখা যায়:

>> উচ্চতা কম
>>মুখমণ্ডলের বিকাশও স্বাভাবিক পরিস্থিতির মতো হয় না
>>জিভের জড়তা
>>পেশির আড়ষ্টতা
>>স্মৃতিশক্তি দুর্বল
>>ভাষাশিক্ষাও অত্যন্ত ধীর গতিতে হওয়া

কী করে ডাউন সিনড্রম ধরা পড়ে: গর্ভাবস্থাতেই পরীক্ষার মাধ্যমে এই সমস্যা টের পাওয়া যেতে পারে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে তা পাওয়া যায় না। শিশুর জন্মের পরে তার চেহারা দেখে এটি বোঝা যায়।

কাদের ক্ষেত্রে ঝুঁকি বেশি:  এই বিষয়ে বেশ কয়েকটি কারণ বলেন চিকিৎসকরা। যেসব নারীরা ৩৫ বছর বয়সের পরে মা হন, তাদের সন্তানের ক্ষেত্রে এই ঝুঁকি বাড়ে বলে মনে করেন অনেকে। যদিও এটি নিয়ে দ্বিমত রয়েছে।

যেসব বাবা-মায়েদের ইতিমধ্যেই এমন সন্তান রয়েছে, যার এই সমস্যা আছে, তাদের ক্ষেত্রে পরের সন্তানেরও এই ঝুঁকি থেকে যায়। যদিও মনে করা হয়, এর সঙ্গে বংশগত কোনো সম্পর্ক নেই, কিন্তু তিন থেকে চার শতাংশ ক্ষেত্রে দেখা গেছে পরিবারে এই রোগের ইতিহাস থাকলে কোনো শিশুর এই সমস্যা হতে পারে।

ডাউন সিনড্রমে আক্রান্তদের আয়ু কেমন হয় :হালে চিকিৎসব্যবস্থার উন্নতির কারণে এই সমস্যায় আক্রান্ত শিশুরা মোটামুটি সুস্থভাবেই বহু দিন বাঁচতে পারে। ৬০ বছরের উপরে বেঁচে থাকতে পারেন এই সমস্যায় আক্রান্তদের অনেকেই।

ডাউন সিনড্রমের চিকিৎসা কী: এখনো পর্যন্ত এই সমস্যা পুরোপুরি সারানোর মতো কোনো চিকিৎসাপদ্ধতি নেই। কিন্তু চিকিৎসকরা বলছেন, নানা ধরনের থেরাপির মাধ্যমে এই সমস্যা কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করা যায়।