• মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৩ ১৪৩১

  • || ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের পটুয়াখালী
ব্রেকিং:
সেনাবাহিনীকে আরও দক্ষ করে গড়ে তোলা হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনী সংকটে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের আস্থা অর্জন করেছে ঢাকা সেনানিবাসে এএফআইপি ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে কাজ করতে মন্ত্রী-এমপিদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর আমাকে সরিয়ে তারা কাকে আনবে? যে ২৫ জেলায় আজ স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকবে থাইল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারত্বের নতুন যুগের সূচনা হয়েছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে থাইল্যান্ড সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী ডিক্টেটর মিলিটারির পকেট থেকে বের হয়নি আওয়ামী লীগ দেশে এখন বেকারের সংখ্যা ৩ শতাংশ: প্রধানমন্ত্রী ‘বিলাসিতা একটু কমিয়ে শ্রমিকদের কল্যাণে নজর দিন’ চীন সফরে যাওয়ার আগে জুলাইয়ে ভারত সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী ছয় দিনের সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়লো আরও ৩ দিন সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর: শেখ হাসিনা কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে কাজ করতে হবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা

চায়ের যত গুন

আজকের পটুয়াখালী

প্রকাশিত: ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮  

অনেকে বলে চায়ের নাকি কোনও গুণ নেই!! ভুল কথা। একাধিক গবেষণায় এ কথা প্রমাণিত হয়েছে যে নিয়মিত হারবাল টি খেলে শরীর সব দিক থেকে ভালো থাকে। শুধু তাই নয়, নানা ধরনের জটিল রোগের হাত থেকে বাঁচাতেও চা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। রিফ্রেশমেন্ট-এর জন্য় তো কেউ স্বভাববশতই দিনে কয়েক কাপ চা পান করে থাকেন। আবার অফিসের কাজের ফাঁকে একটু এনার্জি পেতেও অনেকে গরম চায়ের পেয়ালায় চুমুক মারেন। আর যারা মনে করেন এই অভ্যাস শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর, তাদের কথা ভেবেই এই প্রবন্ধে চায়ের এমন কিছু উপকারিতার কথা উল্লেখ করা হল যা পড়তে পড়তে যে কারও চোখ কপালে উঠতে পারে!

 ১) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়

রোজ টি-তে রয়েছে ভিটামিন সি, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

২) ক্যাফেইন-এর পরিমাণ কম থাকে

কফির তুলনায় চায়ে ক্যাফেইন-এর পরিমাণ কম থাকার কারণে চা পান করলে কফির তুলনায় কম ক্ষতি হয়। তাই তো কফিকে টাটা বাই-বাই বলে আজ থেকেই সকাল বিকাল শুরু করুন চা পান।

৩) হার্টকে ভালো রাখে

লিকার চায়ে এমন কিছু এনজাইম থাকে, যা হার্টে রক্ত সরবরাহ বাড়িয়ে দিয়ে হৃদপিন্ডকে সুস্থ রাখে। তাই তো চিকিৎসকেরা দিনে কম করে দুবার লিকার চা খাওয়ার পরামর্শ দেন।

৪) ক্যানসার প্রতিরোধ করে

একাদিক গবেষণায় একথা প্রমাণিত হয়েছে যে গ্রিন টি-তে এমন কিছু উপাদান থাকে যা শরীরে ক্যানসার কোষের বৃদ্ধি আটকে দেয়।

৫) মাইগ্রেন-এর কষ্ট কমায়

এক্ষেত্রে ল্যাভেন্ডার চা খুব কাজে দেয়। আসলে এই চায়ে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট প্রপাটিজ, যা মস্কিষ্কে রক্ত চলাচল বাড়িয়ে দিয়ে মাইগ্রেন-এর যন্ত্রণাকে কমিয়ে ফেলে।

৬) নার্ভ-কে শান্ত করে

চায়ে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট প্রপাটিজ মস্তিষ্কে রক্ত ও অক্সিজেনের সরবরাহ বৃদ্ধি করে। ফলে নার্ভ শান্ত হয়। সেই সঙ্গে শারীরিক ও মানসিক ক্লান্তিও দূর হয়।

৭) যন্ত্রণা কমায়

শরীরে কোথাও চোট লেগেছে? বেশ যন্ত্রণাও হচ্ছে? চিন্তা নেই এক কাপ মধু চা খেয়ে ফেলুন। দেখবেন সব কষ্ট কেমন নিমেষে কমে যাবে। আসলে মধু চা প্রদাহ হ্রাস করে। সেই সঙ্গে ক্ষতস্থানের ফোলা ভাব কমাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৮) ইউ ভি রেডিয়েশন-এর হাত থেকে বাঁচায়

প্রতিদিন চা পান করলে ইউ ভি রেডিয়েশন-এর ক্ষতিকর প্রভাব থেকে কোষেরা রক্ষা পায়। ফলে স্কিন ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে।

আসলে অনেকেই আছেন যে, দিনে রাতে পাগলের মত চা না খেয়ে থাকতে পারে না। যদিও আমি দুধ চা দিনে একবার খাই আর বাকি সময় আদা, লং আর লেবু দিয়ে বানানো রং চা। কারণ সারাটাক্ষণ ক্লাসে না হয় এখানে ওখানে থাকা হয়। এক চুমুক চায়ে দিনের শুরুটা না হলে যেন জমেই না! কাজেও যেন মন বসে না! তাই চা-টা যে কতটা জরুরী ভুমিকা পালন করে আমাদের জীবনে, তা আমার মত চা পাগলরা খুব ভালভাবেই জানেন। চা না থাকলে কী হত আমাদের, বলেন তো?!

তবে বেশি পরিমানে দুধ চা খাওয়া ঠিক না, বিশেষ করে যাদের হার্ট এর সমস্যা আছে। যাদের ঘুমের সমস্যা আছে তাদের রাতে চা খাওয়া এড়িয়ে চলা ভালো। তবে সচরাচর আমরা যে ধরনের চা পান করি তার অভ্যাসটি একটু বদলে দিয়ে যদি কিছু ভিন্ন স্বাদের চা পান করি তবে আমেজের পাশাপাশি এটি আপনার ওজন হ্রাসেও সাহায্য করবে। এসব চা ক্ষুধা বৃদ্ধির হরমোনকে নিয়ন্ত্রণ করে শরীরের ক্যালোরি ঝড়াতে কাজ করবে। ডায়াবেটিস ও হৃদরোগ নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করবে।

১. সবুজ চা বা গ্রিন টিঃ
কাজে বের হওয়ার আগে এককাপ গ্রিন টি পান দেহের শক্তি জোগাতে কাজ করবে। সম্প্রতি ১২ সপ্তাহ ধরে করা একটি গবেষণায় দেখা গেছে, যাঁরা একেবারেই চা পান করেন না তাঁদের তুলনায় প্রতিদিন যাঁরা চার থেকে পাঁচ কাপ গ্রিন টি পান করেন তাঁরা ২ অথবা এর বেশি পাউন্ড ওজন কমাতে সক্ষম হয়েছেন। এই চা দেহের চর্বি কোষ থেকে চর্বি ঝড়াতে সাহায্য করে এবং লিভারের অবস্থানকে ভালো রাখে।

২. ওলং চাঃ 
ওলং চা, যার চীনা নাম ব্ল্যাক ড্রাগন। এই চা হালকা স্বাদের। ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে এবং শরীরের শক্তি ধরে রেখে চর্বি কমিয়ে দেয়। গবেষণায় দেখা গেছে যারা নিয়মিত ওলং চা পান করেছেন তাঁরা ছয় সপ্তাহের মধ্যে ছয় পাউন্ড ওজন হ্রাস করতে পেরেছেন। অর্থাৎ প্রতি সপ্তাহে এক পাউন্ড করে! তাই ওজন হ্রাসে নিয়মিত এই চা পানের অভ্যাসও করতে পারেন।

৩. পুদিনার চাঃ 
নিজেকে আকর্ষণীয় ফিগারের অধিকারী দেখতে পান করতে পারেন পুদিনা পাতার চা। গবেষণায় বলা হয়, যারা পুদিনা পাতার চা পানকে তাদের অভ্যাসে পরিণত করেছেন তাঁরা এক মাসে পাঁচ কেজি পর্যন্ত ওজন হ্রাস করতে পারবেন।

৪. সাদা চাঃ 
সাদা চা বা হোয়াইট টির মধ্যে প্রচুর পরিমাণে এন্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে। গবেষণায় বলা হয়, এই চা চর্বি ভাঙতে সাহায্য করে শরীরকে চাঙা রাখে। যদি সত্যিই কোনো ডায়েট টি খুঁজতে চান তবে সত্যিই এটির জুড়ি নেই।

৫. রুইবস টিঃ
মূলত লাল গুল্ম থেকে রুইবস চায়ের উৎপত্তি। দক্ষিণ আফ্রিকার ক্যাপটাউন এলাকার কাছাকাছি কেডারবার্গ প্রদেশে এই চা উৎপন্ন হয়। এই চা শরীরের চর্বি ঝড়ানোর পাশাপাশি চাপ তৈরির হোরমোনকে (স্ট্রেস হরমোন) নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। হাইপার টেনশন, কার্ডিওভাসকুলার রোগ, শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা সঠিক রাখা এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেও এই চা বেশ কার্যকরী।