• মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৩ ১৪৩১

  • || ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের পটুয়াখালী
ব্রেকিং:
সেনাবাহিনীকে আরও দক্ষ করে গড়ে তোলা হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনী সংকটে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের আস্থা অর্জন করেছে ঢাকা সেনানিবাসে এএফআইপি ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে কাজ করতে মন্ত্রী-এমপিদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর আমাকে সরিয়ে তারা কাকে আনবে? যে ২৫ জেলায় আজ স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকবে থাইল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারত্বের নতুন যুগের সূচনা হয়েছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে থাইল্যান্ড সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী ডিক্টেটর মিলিটারির পকেট থেকে বের হয়নি আওয়ামী লীগ দেশে এখন বেকারের সংখ্যা ৩ শতাংশ: প্রধানমন্ত্রী ‘বিলাসিতা একটু কমিয়ে শ্রমিকদের কল্যাণে নজর দিন’ চীন সফরে যাওয়ার আগে জুলাইয়ে ভারত সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী ছয় দিনের সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়লো আরও ৩ দিন সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর: শেখ হাসিনা কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে কাজ করতে হবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা

ভয় বনাম নেতিচিন্তা

আজকের পটুয়াখালী

প্রকাশিত: ২৫ জানুয়ারি ২০২১  

ভয়। নেতিচিন্তার জননী। ভয় হচ্ছে আমাদের অগ্রগতির পথে, নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পথে, ভালো কাজ করার পথে সবচেয়ে বড় অন্তরায়। নিজের সাফল্যের পথে সবচেয়ে বড় অন্তরায়। আমরা সবসময় এই ভয়ের কারণে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগি। ভেতরে যখন ভয় থাকে তখন প্রজ্ঞা কাজ করতে পারে না।

প্রশ্ন হলো, প্রজ্ঞার অবস্থানটা কোথায়? সমস্ত জ্ঞানের অবস্থানটা কোথায়? সমস্ত জ্ঞানের অবস্থান হচ্ছে আপনার মনের অচেতন স্তরে। আমাদের মনটাকে বিজ্ঞানীরা তিনটা ভাগে ভাগ করেছেন। সচেতন, অবচেতন এবং অচেতন।

সচেতন স্তরটা বাইরে। তারপরে অবচেতন স্তর, তারপরে কোর অব দি মাইন্ড, এটা হচ্ছে অচেতন স্তর। আনকনশাস এরিয়া। আনকনশাস রিজিওন। তো এই আনকনশাস, এটাকেই সাধকরা বলেন এটা হচ্ছে সুপার কনশাস এরিয়া।

তো সমস্ত জ্ঞান এই সুপার কনশাস এরিয়াতে একেবারে জমাট বেঁধে আছে। আকরিত আছে। জ্ঞান আছে, কিন্তু অচেতন স্তর থেকে সচেতন স্তরে না আসা পর্যন্ত আপনি সেই জ্ঞানের ভিত্তিতে কাজ করতে পারবেন না। এবং এই যে প্রজ্ঞা, মৌনতার মধ্য দিয়ে, কোয়ান্টায়নের মধ্য দিয়ে অচেতনের সাথে বা অতিচেতন মনের সাথে সচেতন মনের সংযোগটা হয়ে যায়। তখন অতিচেতন মন থেকে মনের সচেতন স্তরে তথ্যগুলো সিদ্ধান্তগুলো ধারণাগুলো আসতে শুরু করে। অনেক সময়ই কী হচ্ছে? আমরা অনেক কিছু আগে কিন্তু বুঝতে পারি। আমাদের অতিচেতন মন বলে দেয়। কখনো কখনো সে সুযোগ পায় সচেতন স্তরে মেসেজ পাস করে। কিন্তু আমরা সাধারণত ভয়ের কারণে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগি। ভাবি, এটা করব? করলে কী হয় না হয়? কে কী বলে না বলে, কোথায় কী ঝামেলা হয়। ফলে আমরা কোনো পদক্ষেপ নিতে পারি না। আপনারা নিজেরাও দেখবেন অনেক সময় মনে হবে যে, এরকম তো মনে হয়েছিল এরকম হতে পারে। কিন্তু হয় আরেক রকম। কেন? কারন আপনি পদক্ষেপ নেন নাই। আপনি গুরুত্ব দেন নাই। আপনি বুঝতে পারেন নাই। আপনার বোঝার যে শক্তি সে শক্তিটা তখন ওয়ার্ক করে নাই। কাজ করে নাই। আসলে আমাদের যে মনোদৈহিক প্রক্রিয়া এটা পরিচালনা করে কে? এটা পরিচালনা করে আমাদের মস্তিষ্ক। মস্তিষ্কের ক্ষমতা কত?

জেরাল্ড এডেলম্যানের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা যায়, একের ডানপাশে এককোটি শূন্য বসালে যে সংখ্যা হবে আমাদের মস্তিষ্কের কানেক্টিভিটির সংখ্যা হচ্ছে তা-ই। এত বিশাল ক্ষমতা এই মস্তিষ্কের। কত বিশাল সেটা কল্পনা করার মতো অবস্থায়ও আমরা এখনো আসি নাই। ধরুন একশ বছর আগে ব্রেনের ক্ষমতা নিয়ে মানুষ যতটা চিন্তা করতে পারত আজকে একশ বছর পরে সে অনেক বেশি চিন্তা করতে পারছে। কিন্তু একশ বছর আগে এত চিন্তা করতে পারত না। তারপরেও ব্রেনের যে আসলে কী ক্ষমতা সেটা এখনো আমাদের কল্পনার মধ্যে আসে নাই।

আমরা মহাবিশ্বের সভ্যতার যা-কিছু নির্মাণ করেছি সব এই মস্তিষ্ককে ব্যবহার করে। কিন্তু এই মস্তিষ্ক নিজেই যদি রোগাক্রান্ত হয়ে যায়, ভয়-রোগে আক্রান্ত হয় তাহলে এই মস্তিষ্ক কাজ করবে কীভাবে? এ তো কাজ করতে পারবে না। মস্তিষ্ক অসুস্থ হয় কীভাবে? এই নেতিবাচক চিন্তা, নেতিবাচক ভাবনা নেতিবাচক আবেগ থেকে। এবং যত নেতিবাচক চিন্তাভাবনা আবেগ এটার প্রধান কারণ হচ্ছে ভয়।