বিশ্বজুড়ে অর্ধশত কোটি টাকার বাজার গড়েছে বাউফলের মৃৎশিল্প
আজকের পটুয়াখালী
প্রকাশিত: ১৮ মে ২০২৩
দিন দিন সমৃদ্ধ হচ্ছে বাউফলের মৃৎশিল্প। এক সময় পয়সার হিসাবে বেচাকেনা হওয়া এ মৃৎশিল্পের বাজার এখন অর্ধশত কোটি টাকায় ঠেকেছে। এখানকার উৎপাদিত পণ্য যাচ্ছে দেশের নামি-দামি শোরুম ও শপিংমলে। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে এশিয়া, ইউরোপ, আফ্রিকার অর্ধশত দেশেও রপ্তানি হচ্ছে এসব পণ্য।
এক সময় তিনবেলা খাবার জোটাতে যাদের রাতদিন এক করতে হতো সেই পাল পরিবারের সদস্যরা এখন সমৃদ্ধি আর শান-শওকতে বসবাস করছেন। মৃৎশিল্প পাল সম্প্রদায়ের আদি পেশা হলেও এ পেশায় এখন মুসলিম পরিবারের সদস্যরাও মনোনিবেশ করছেন। তারাও পালদের সঙ্গে সমান তালে নতুন কারখানা খুলছেন।
আদিকালে তামাক পাতা মাখার জন্য ছোট ছোট পাত্র তৈরি করতেন বাউফলের পালপাড়া এলাকার পাল সম্প্রদারের মানুষ। পাশাপাশি তারা ভাতের মাড় ফেলার বড় পাত্র এবং ভাত খাওয়ার বাসন তৈরি করতেন। এছাড়া পানি রাখার জন্য বড় বড় পাত্রও (কলস) তৈরি করতেন। সেসময় এসব বিক্রি করে তিনবেলা খাবার জোটাতেই দিনরাত এক করতে হতো তাদের। স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে মন্দা ভাব থাকলেও গত দুই দশকে পালদের ব্যবসায় সুবাতাস বইছে।
বড় বড় বাসন না বানিয়ে তারা ছোট ছোট জিনিস বিশেষ করে ফুলের টব, ফুলদানি, সিগারেটের স্ট্রে কিংবা শোপিচ তৈরি শুরু করেন। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। শুরু করেন ব্যবহার উপযোগী প্লেট, কাপ-প্রিচ, ছোট-বড় বিভিন্ন সাইজের বাটিসহ ডিনারসেট। গুণগত মান এবং নান্দনিক হওয়ায় এসব পণ্য উৎপাদন করে সারাদেশে তাক লাগিয়েছেন তারা।
পাল পাড়ার এই সমৃদ্ধি ও গতিশীলতা নিয়ে কথা হয় প্রবীণ বিশ্বেস্বর পালের সঙ্গে। তিনি বলেন, আমাদের পরিচিতি এখন দেশজুড়ে। একটা সময় ছিল আমাদের অভাব-অনটনের শেষ ছিল না। এখন আমাদের সব পরিবারই সমৃদ্ধি অর্জন করেছে। আমার দুই সন্তানকে আমি লেখাপড়া শিখিয়েছি, যাদের একজন চারুকলায় এবং একজন বিবিএ করেছে। তারাই এখন আমার ব্যবসা দেখভাল করছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা নতুন নতুন বাজার সৃষ্টিতে কাজ করছি। ৫০ থেকে ৬০টি পরিবার রয়েছে যারা সরাসরি এমন আধুনিক পণ্য তৈরি এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সরবরাহ করছে। ফলে এ এলাকার কয়েকশো মানুষের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে। আবার অনেকেই আছেন যারা কাজ শিখে নিজেরাই নতুন নতুন কারখানা দিচ্ছেন। আমাদের তৈরি পণ্য এখন আড়ং, ঢাকা হ্যান্ডিক্রাফটসহ দেশের বড় বড় শপিংমলে বিক্রি হয়। এছাড়া বিশ্বের অন্তত ৫০ দেশে এসব পণ্য রপ্তানি হচ্ছে এবং চাহিদাও বেশ রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা সরাসরি রপ্তানি করছি না। কিছু বড় প্রতিষ্ঠানের কাছে পণ্য সরবরাহ করি, তারাই বিদেশে রপ্তানি করছে। সব মিলিয়ে কমপক্ষে অর্ধশত কোটি টাকার বাজার তৈরি হয়েছে।
‘প্রিমত মৃৎ শিল্প’র স্বত্বাধিকারী লক্ষ্মী রানী পাল বলেন, আমরা বিভিন্ন পণ্য ঢাকার নামি-দামি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিক্রি করছি। তবে ঢাকার প্রতিষ্ঠানগুলো যে চড়া দামে পণ্য বিক্রি করছে আমাদের সেই অনুপাতে খুব বেশি দাম দিচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, এখন খরচ অনেক বেড়ে গেছে। মাটি কেনা থেকে শুরু করে কারিগর খরচ, জ্বালানি খরচ অনেক। আমাদের এখন সীমিত লাভ হচ্ছে। তারপরও ভালো আছি।
মৃৎশিল্পের শ্রমিক নাজমা আক্তার বলেন, আমরা এখানে ২৩ জন নারী শ্রমিক আছি যারা নিরাপদ পরিবেশে কাজ করছি। আমরা বিভিন্ন ধরনের কাজ করি, যেমন কেউ ফিনিসিংয়ের কাজ করে, কেউ রঙের, কেউ আছে যারা কাপে হ্যান্ডেল লাগানোর কাজ করে। বাড়ির কাছে কাজের সুযোগ পেয়ে ভালোই হয়েছে।
পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মো. শরীফুল ইসলাম বলেন, বাউফলের মৃৎশিল্প এখন দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশেও সুনাম অর্জন করেছে। এটি একটি সম্ভাবনাময় শিল্প। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের সার্বিক সহযোগিতা দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, সরকারিভাবে এখানকার শিল্পীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। মৃৎশিল্পের নতুন নতুন বাজার সৃষ্টিতে বিভিন্ন মেলায় মৃৎশিল্পের জন্য স্টলের ব্যবস্থা করা হচ্ছে, এতে তাদের পরিচিতি এবং বাজার দুটোই বাড়ছে। আগামীতেও মৃৎশিল্পের উন্নয়নে যেকোনো ধরনের সহযোগিতার প্রয়োজন হলে সেটি অব্যাহত থাকবে।
- হাসিনা-তাভিসিন আন্তরিক বৈঠক, থাইল্যান্ডের সঙ্গে ৫ দলিল স্বাক্ষর
- বিমানে ওঠার আগে বৈদেশিক মুদ্রাসহ আটক ১
- ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় খেলায় হেরে গিয়ে জয় উদযাপনে হামলা, যুবক নিহত
- বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে
- বাংলাদেশে চিকিৎসা খাতে থাইল্যান্ডের বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী
- থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শেখ হাসিনাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা
- থাইল্যান্ডের রাজা-রানির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাৎ
- বাংলাদেশকে ‘সিকিউরিটি প্রোভাইডার’ দেশ হিসেবে দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট
- টাঙ্গাইল শাড়িসহ ১৪ পণ্যকে জিআই স্বীকৃতি
- দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী
- বান্দার যে কর্মের ফলে বৃষ্টি বন্ধ করে দেন আল্লাহ
- প্রচণ্ড জ্বর ও গায়ে ব্যথায় ভুগছেন, ম্যালেরিয়ার লক্ষণ নয় তো?
- এই গরমে দিনে কয় কাপ চা পান করবেন?
- গরমে প্রাণ জুড়াবে আমপান্না
- এভিয়েশন শিল্পে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য
- ৩ শতাংশের বেশি শেয়ার দর কমতে পারবে না
- বে-টার্মিনালে বিনিয়োগ হবে দশ বিলিয়ন ডলার
- ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে মে থেকেই অভিযান
- আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণে সহায়তা করতে চায় ভারত
- মডেল ঘরে পেঁয়াজ সংরক্ষণ কৃষকের মধ্যে সাড়া
- আজীবনের জন্য বয়কট ঘোষণা করা হলো জয় চৌধুরীকে
- হজযাত্রীদের সহযোগীতার আশ্বাস সৌদির
- আইনের আওতায় আসবে সব ধরনের অনলাইন সেবা
- সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ
- দিনে তীব্র তাপদাহর কারণে রাতে চাঁদের আলোয় ধান কাটছেন চাষিরা
- ভয়াবহ সংকটের কবলে বরিশাল সহ উপকূলের মৎস্য ও কৃষিখাত
- বরিশালে নিরাপদ খাদ্যবিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
- বানারীপাড়ায় কিশোরীকে অপহরণ করে ধর্ষক গ্রেফতার
- তীব্র তাপদহে অতিষ্ঠ উপকূলের জনজীবন, বাড়ছে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী
- মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্রে সক্ষমতার পুরোটাই বাণিজ্যিক উৎপাদনে আসছে
- রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে গেছে কি না বুঝবেন যে লক্ষণে
- পিসিওএস থেকে মুক্তি পেতে নারীরা যা করবেন
- হিট স্ট্রোক এড়াতে কীভাবে সতর্ক থাকবেন?
- গলাচিপায় অসহায় ও দুস্থদের মাঝে ভিজিএফের চাল বিতরণ
- ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের
- বরিশালে মোবাইল কোর্ট অভিযানে ৪টি মামলা, অর্থদণ্ড আদায়
- হার্টে হলদেটে ছোপ কেন হয়, কীসের লক্ষণ?
- পটুয়াখালীতে বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চোর চক্রের দুই সদস্য গ্রেফতার
- বরগুনায় মা ও মেয়ে ধর্ষণের পলাতক আসামী গ্রেফতার
- বদহজম-পেটে যন্ত্রণা অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসারের লক্ষণ নয় তো?
- কমবয়সীদেরও কেন হয় হার্নিয়া, এর চিকিৎসা কী?
- ব্রাজিলকে সরাসরি তৈরি পোশাক নেওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
- হুপিং কাশিতে আক্রান্ত কি না বুঝবেন যে লক্ষণে
- এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ নির্দেশনা
- কলাপাড়ায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড
- নিষেধাজ্ঞায় অভয়াশ্রমে মাছ শিকার ১৪ জেলের কারাদন্ড
- প্রচণ্ড জ্বর ও গায়ে ব্যথায় ভুগছেন, ম্যালেরিয়ার লক্ষণ নয় তো?
- বুয়েটের সিদ্ধান্ত অসাংবিধানিক, ছাত্র রাজনীতি চালু করতে হবে:সাদ্দম
- বেশিক্ষণ রোদে থাকলে যে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে
- শুধু হিট স্ট্রোক নয়, তাপপ্রবাহে কঠিন যে রোগের ঝুঁকি বাড়ে