বাউফলে জমি নিয়ে বিরোধে ভাতিজাকে কুপিয়ে হত্যা

পটুয়াখালীর বাউফলে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে আল-আমিন মৃধা (৩০) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার চাচার বিরুদ্ধে। শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বাউফলের মিলঘর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

মৃত আল-আমিন বাউফল উপজেলার আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের মাধবপুর গ্রামের শানু মৃধার ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, আল-আমিনের মোট নয় চাচার মধ্যে অভিযুক্ত মোতালেব মৃধা চার নাম্বার। অনেক দিন আগে থেকেই পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে চাচা মোতালেবের সঙ্গে দ্বন্দ্ব ছিল আল-আমিনের।

আল আমিনের চাচাতো ভাই ইরফান মৃধা বলেন, আমরা সবাই মিলঘরে বসেছিলাম। এর মধ্যে আল-আমিন ভাইয়া একা বাড়ির দিকে রওনা হন। কিছুক্ষণ পরে আমরা দেখি অনেক মানুষ দৌড়াদৌড়ি করছে। এরপর দেখি আমাদের চাচা মোতালেব মৃধা ও তার সঙ্গে আরও আট থেকে ১০ জন চাকুসহ আরও অনেক অস্ত্র নিয়ে যাচ্ছেন। এরপর আমরা দৌড়ে গিয়ে দেখি আল-আমিন ভাইয়ার সারা শরীর রক্তে ভিজে আছে। আমরা তাকে পটুয়াখালী হাসপাতালে নিয়ে যাই। পরে হাসপাতালেই ভাইয়া মারা যান।

আল-আমিনের আরেক চাচাতো ভাই ইমরান মৃধা বলেন, আমি ও আমার এক বেয়াই বাইকে বাড়ির দিকে যাওয়ার পথে লোকজনের ডাকাডাকি শুনে দাঁড়াই। তখন দেখি আমার চাচা মোতালেব মৃধা, তার ছেলে লাবিব মৃধা ও মামুন মৃধা। আরও এক চাচা জাফর মৃধা ও তার ছেলে জাহিদ মৃধা, এছাড়াও আমাদের পাশের বাড়ির শহিদুল, জাহিদুল নুরুজ্জামান সফেজ , সোবাহান, জহিরুল, শাহজাহান এদের সঙ্গে আরও অনেকে অস্ত্র নিয়ে যাচ্ছেন। পরে রাস্তার পাশে টর্চ মেরে আমার ভাই আল-আমিনের শরীর থেকে রক্ত ঝরতে দেখি।

পরে তাকে হাসপাতাল নিয়ে যাই। আমাদের পাশের বাড়ির ওই শহীদুল, জাহিদুলসহ আরও বেশ কয়েকজন মিলে গত বছর আমাকে ও আল-আমিনকে কুপিয়ে ছিল। আল-আমিনের মাথায় ও আমার হাতে কোপ লাগে। ওদের প্ররোচনায় আমার ভাইকে খুন করা হয়েছে। আমি এর বিচার চাই।

বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এটিএম আরিচুল হক জানান, জমি নিয়ে পারিবারিক শত্রুতার জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা যায়নি।