• বুধবার ০১ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৭ ১৪৩১

  • || ২১ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের পটুয়াখালী
ব্রেকিং:
চীন সফরে যাওয়ার আগে জুলাইয়ে ভারত সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী ছয় দিনের সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়লো আরও ৩ দিন সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর: শেখ হাসিনা কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে কাজ করতে হবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি

ফেসবুক লাইভে অস্ত্রাগার দেখিয়ে চাকরি হারালেন পুলিশ সুপার

আজকের পটুয়াখালী

প্রকাশিত: ১৮ এপ্রিল ২০২৪  

বহিরাগতদের অস্ত্রাগার দেখানো ও সেখান থেকে ফেসবুকে সরাসরি সম্প্রচারের সুযোগ দেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় শাহের ফেরদৌস রানা নামের এক পুলিশ সুপারকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। গেল ৯ এপ্রিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়। প্রজ্ঞাপনটি প্রকাশ করা হয় (১৭ এপ্রিল) বুধবার।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়-২০২০ সালের ২৯ আগস্ট ঢাকায় স্পেশাল সিকিউরিটি অ্যান্ড প্রটেকশন ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় তিন বহিরাগতকে অস্ত্রাগার পরিদর্শন করানো, অস্ত্রের বর্ণনা দিয়ে ফেসবুকে সরাসরি সম্প্রচারের সুযোগ দিয়েছিলেন খুলনার রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ের পুলিশ সুপার শাহের ফেরদৌস রানা। এ কাজে তাকে সহায়তা করেন পুলিশ পরিদর্শক (সশস্ত্র) গোলাম মোস্তফা, পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) সৈয়দ আনিসুর রহমান, এসআই (নিরস্ত্র) নুর-এ-সরোয়ার রিপন, এসআই (সশস্ত্র)-১২১২৬ আবু সাঈদ মো. ওবাইদুর রহমান এবং এসআই (সশস্ত্র) মানিক খান।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, পরবর্তীতে ফেরদৌস রানার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ২০২২ সালের ২৭ জুলাই পুলিশ অধিদপ্তরে প্রস্তাব পাঠানো হয়। এরপর ১৮ সেপ্টেম্বর তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজু করে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। পরে ১০ অক্টোবর কারণ দর্শানোর জবাব দিয়ে ব্যক্তিগত শুনানির আবেদন করেন তিনি। তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১১ নভেম্বর তার ব্যক্তিগত শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

শুনানিকালে ফেরদৌস রানার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ, লিখিত জবাব, উভয়পক্ষের বক্তব্য ও উপস্থাপিত অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণাদি পর্যালোচনায় অভিযোগ প্রমাণিত হলে গুরুদণ্ড আরোপের পর্যাপ্ত ভিত্তি রয়েছে মর্মে প্রতীয়মান হয়। অভিযোগের বিষয়ে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য গত ২০২৩ সালের ১৯ জানুয়ারি তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়।

তদন্তকারী কর্মকর্তা বিধিমতে সাক্ষ্য, সাক্ষীদের জেরা, উপস্থাপিত ভিডিওসহ সব দলিলপত্রাদি পর্যালোচনা ও সরেজমিনে তদন্ত শেষে গত ২৩ মে তার বিরুদ্ধে আনীত ‘অসদাচরণ’ এর অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে মর্মে মতামতসহ তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন।

আনীত অভিযোগ, লিখিত জবাব, শুনানিকালে উভয়পক্ষের বক্তব্য, তদন্ত প্রতিবেদন ও প্রাসঙ্গিক দলিলপত্র পর্যালোচনায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় কেন ফেরদৌস রানাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত বা অন্য কোনো গুরুদণ্ড প্রদান করা হবে না, তা জানতে চেয়ে গত ১৩ জুন দ্বিতীয় কারণ দর্শানো নোটিশ পাঠানো হয়।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, ২০ জুলাই দ্বিতীয় কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব দাখিল করেন শাহের ফেরদৌস রানা। অভিযুক্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ, অভিযুক্ত কর্মকর্তার দেওয়া কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব, তদন্ত প্রতিবেদন ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রাদি পুনরায় পর্যালোচনায় তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ খণ্ডনের মতো কোনো যুক্তি তিনি উপস্থাপন করতে সক্ষম হননি বলে জানা গেছে।

পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে রুজু করা বিভাগীয় মামলায় উপস্থাপিত ভিডিওটি সিআইডির ফরেনসিক বিভাগের বিশেষজ্ঞদের দিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর সুস্পষ্ট মতামতসহ প্রতিবেদন পাঠানোর জন্য বলা হয়। ২৪ আগস্ট সিআইডির ফরেনসিক বিভাগের পাঠানো প্রতিবেদনে উপস্থাপিত ভিডিওটি সম্পাদনা করা হয়নি বলে প্রকৃত মর্মে মতামত দেওয়া হয়।

অসদাচরণের অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় গুরুদণ্ড হিসেবে শাহের ফেরদৌস রানাকে ‘বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান’-এর প্রাথমিক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। পরবর্তীতে সরকারি কর্ম কমিশনের পরামর্শ চাওয়া হয়। গেল ১ জানুয়ারি সরকারি কর্ম কমিশন বাধ্যতামূলক অবসর প্রদানের দণ্ড দেওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্তকরণে পরামর্শ প্রদান করে।