• বুধবার ০১ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৮ ১৪৩১

  • || ২১ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের পটুয়াখালী
ব্রেকিং:
চীন সফরে যাওয়ার আগে জুলাইয়ে ভারত সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী ছয় দিনের সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়লো আরও ৩ দিন সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর: শেখ হাসিনা কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে কাজ করতে হবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি

রেস্তোরাঁয় মদ না পেয়ে ‘তাণ্ডব চালান’ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার

আজকের পটুয়াখালী

প্রকাশিত: ১৮ এপ্রিল ২০২৪  

কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মংনেথোয়াই ও তার স্ত্রী ভাতের সঙ্গে মদ না পেয়ে বান্দরবান শহরের একটি রেস্তোরাঁয় হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে রেস্তোরাঁর মালিকের স্ত্রী, শিশুসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাতে বান্দরবান শহরের মধ্যমপাড়ার তোহজাহ রেস্তোরাঁয় এ ঘটনা ঘটে।

একটি সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার ছিল বর্ষবরণ উৎসব সাংগ্রাইয়ের দ্বিতীয় দিন। কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মংনিথোয়াই স্ত্রী ও কয়েকজন সঙ্গীকে নিয়ে তোহজাহ রেস্তোরাঁয় ঢুকে ভাতের সঙ্গে মদ দিতে বলেন। রেস্তোরাঁর মালিক শোয়েসাই মং তাদের ভাত দিতে দেরি হবে এবং মদ দিতে পারবেন না বলে জানান। এতে চটে যান মংনিথোয়াই ও তার স্ত্রী। এসময় তার স্ত্রী বলেন, আমি অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের বউ, মদ এখনই দিতে হবে। না হলে দোকান বন্ধ করে দেব। এ কথা বলার পর তারা হইচই শুরু করেন। একপর্যায়ে তারা রেস্তোরাঁর মালিক ও তার স্ত্রীকে মারধর শুরু করেন। এসময় রেস্তোরাঁর মালিকের স্ত্রীর কোলে থাকা শিশুটি মাটিতে পড়ে গিয়ে আহত হয়। মারধর থামাতে গিয়ে বেশ কয়েকজন জখম হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে রাতেই বান্দরবান সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে রেস্তোরাঁটি বন্ধ করে দেয়।

এ ঘটনায় আহত ব্যক্তিরা হলেন রেস্তোরাঁর মালিক শোয়েসাই মং (৩২), তার স্ত্রী উম্যাশৈ (২৫), তাদের দুই বছরের সন্তান উখ্যাই, ভাই খিংসাই মং (৩৬) ও মা পাইনুচিং (৬৫)।

বান্দরবান সদর হাসপাতালের চিকিৎসক দিদার বলেন, আহতদের শরীরে কামড়ের দাগ রয়েছে। তাছাড়া হাত-মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে, আমরা তাদের চিকিৎসা দিয়েছি।

এদিকে এ ঘটনা ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বান্দরবানে আলোচনার ঝড় ওঠে। অনেকে এটাকে একজন পুলিশ কর্মকর্তার ক্ষমতার অপব্যবহার আখ্যা দিয়ে এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

এদিকে এ ঘটনায় বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকালে দুই পক্ষকে নিয়ে বসে সমাধানের চেষ্টা করা হয়। এ বিষয়ে বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রায়হান কাজেমী দাবি করেন, গতকালের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটি আজ পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের কক্ষে দুই পক্ষকে নিয়ে বসে সমাধান করা হয়েছে।

এদিকে রেস্তোরাঁর মালিকের ভাই জসাই মারমা জানান, সকালে মীমাংসার জন্য জেলা পরিষদে বসলেও সঠিক বিচার আমরা পাইনি, তাই আমরা আমাদের অ্যাডভোকেটের মাধ্যমে আদালতের কাছে এ ঘটনার বিচার চাইব।