• সোমবার ২০ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১১ জ্বিলকদ ১৪৪৫

আজকের পটুয়াখালী
ব্রেকিং:
চাকরির পেছনে না ছুটে যুবকদের উদ্যোক্তা হওয়ার আহ্বান ‘সামান্য কেমিক্যালের পয়সা বাঁচাতে দেশের সর্বনাশ করবেন না’ ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে আওয়ামী লীগ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আগামীকাল ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিচারকদের প্রতি আহ্বান রাষ্ট্রপতির আহতদের চিকিৎসায় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর ভূমিকা চান প্রধানমন্ত্রী টেকসই উন্নয়নের জন্য কার্যকর জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনা চান প্রধানমন্ত্রী বিএনপি ক্ষমতায় এসে সব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয় চমক রেখে বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করল বাংলাদেশ শেখ হাসিনার তিন গুরুত্বপূর্ণ সফর: প্রস্তুতি নিচ্ছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হজযাত্রীদের ভিসা অনুমোদনের সময় বাড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ এআইকে স্বাগত জানায় তবে অপব্যবহার রোধে পদক্ষেপ নিতে হবে ছেলেরা কেন কিশোর গ্যাংয়ে জড়াচ্ছে কারণ খুঁজে বের করার নির্দেশ প্রযুক্তিজ্ঞান সম্পন্ন নতুন প্রজন্ম গড়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর এসএসসির ফল প্রকাশ, পাসের হার যত ছাত্রীদের চেয়ে ছাত্ররা পিছিয়ে, কারণ খুঁজতে বললেন প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর কাছে এসএসসির ফল হস্তান্তর জলাধার ঠিক রেখে স্থাপনা নির্মাণে প্রকৌশলীদের আহ্বান প্রধানমন্ত্রী দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে টেকসই কৌশল উদ্ভাবনের আহ্বান

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব

আজকের পটুয়াখালী

প্রকাশিত: ৮ অক্টোবর ২০২০  

সম্প্রতি উত্তপ্ত হয়ে উঠছে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প। মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) রাতে বন্দুকযুদ্ধে এক বাংলাদেশি ও তিন জন রোহিঙ্গা সদস্য নিহত হন। এ ঘটনার পর ক্যাম্পের পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক হয়নি। বিশেষজ্ঞরা এমন অস্থিতিশীল পরিস্থিতিকে ‌‘কর্তৃত্বের দ্বন্দ্ব’ বলে মনে করছেন। তাদের মতে, ক্যাম্পে চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা ও মানবপাচারসহ অন্যান্য অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা নিয়ে এই দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ও অভিবাসন বিশেষজ্ঞ মোহাম্মাদ শহীদুল হক বলেন, ‘এটি রিসোর্সের দ্বন্দ্ব। যখন সম্পদ কম থাকে এবং অনেক পক্ষ থাকে তখন দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। এটি শুধু বাংলাদেশে নয়, অন্যান্য দেশের ক্যাম্পেও এ ধরনের ঘটনা ঘটে।’

এই ঘটনাগুলো সন্ত্রাসী ঘটনা নয় বরং অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বলে মনে করেন সাবেক ওই সচিব। তিনি আরও বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনা রোধের জন্য গোটা পরিস্থিতি নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করতে হবে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।’

দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা থেকে সাবেক এ সচিব বলেন, ‘স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের এক্ষেত্রে কাজে লাগাতে হবে। তারা এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।’

রোহিঙ্গা ন্যাশনাল টাস্কফোর্সের (এনটিএফ) কার্যক্রমকে আরও জোরালো করার ওপর গুরুত্ব দিয়ে শহীদুল হক বলেন, ‘এই টাস্কফোর্সে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে জড়িত সবাই সদস্য। এরা যদি নিয়মিতভাবে বিষয়টি মনিটর করে এবং মাঠ, জেলা ও জাতীয় পর্যায়ে দিক নির্দেশনা দেয় তবে অনেক অপ্রীতিকর বিষয় এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব হবে।’

প্রয়োজনে টাস্কফোর্সের বৈঠক কক্সবাজারে করা যায় মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘যখন এনটিএফের বৈঠক হয় তখন সবাই সজাগ হয় এবং দায়িত্ব নিয়ে অবহেলার সুযোগ থাকে না। কারণ বৈঠকে সবাইকে জবাবদিহি করতে হয়।’

এছাড়া বিদেশি কূটনীতিকদেরও এ বিষয়ে সময়ে সময়ে ব্রিফিং করা দরকার, কারণ এর ফলে ক্যাম্পে কী হচ্ছে সে বিষয়ে সরকার কী করছে সেটি তারা জানতে পারে।

মিয়ানমারে বাংলাদেশের সাবেক ডিফেন্স এটাশে মোহাম্মাদ শহীদুল হক একই মত পোষণ করে বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের মধ্যে অনেকে আছে যারা শিক্ষিত এবং নেতৃত্ব দেওয়ার যোগ্যতা রাখে। এদেরকে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত করে এলাকাভিত্তিক দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে, ক্যাম্প ব্যবস্থাপনার জন্য।’

তিনি বলেন, ‘এর ফলে ওই নেতাদের রোহিঙ্গাদের কাছেও গ্রহণযোগ্যতা থাকবে। কারণ তারাই ওদেরকে মনোনীত করেছে। আবার অন্যদিকে সরকার তাদের সঙ্গে বসে ক্যাম্পের দেখভাল করতে সক্ষম হবে।’