• রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

আজকের পটুয়াখালী
ব্রেকিং:
চাকরির পেছনে না ছুটে যুবকদের উদ্যোক্তা হওয়ার আহ্বান ‘সামান্য কেমিক্যালের পয়সা বাঁচাতে দেশের সর্বনাশ করবেন না’ ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে আওয়ামী লীগ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আগামীকাল ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিচারকদের প্রতি আহ্বান রাষ্ট্রপতির আহতদের চিকিৎসায় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর ভূমিকা চান প্রধানমন্ত্রী টেকসই উন্নয়নের জন্য কার্যকর জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনা চান প্রধানমন্ত্রী বিএনপি ক্ষমতায় এসে সব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয় চমক রেখে বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করল বাংলাদেশ শেখ হাসিনার তিন গুরুত্বপূর্ণ সফর: প্রস্তুতি নিচ্ছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হজযাত্রীদের ভিসা অনুমোদনের সময় বাড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ এআইকে স্বাগত জানায় তবে অপব্যবহার রোধে পদক্ষেপ নিতে হবে ছেলেরা কেন কিশোর গ্যাংয়ে জড়াচ্ছে কারণ খুঁজে বের করার নির্দেশ প্রযুক্তিজ্ঞান সম্পন্ন নতুন প্রজন্ম গড়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর এসএসসির ফল প্রকাশ, পাসের হার যত ছাত্রীদের চেয়ে ছাত্ররা পিছিয়ে, কারণ খুঁজতে বললেন প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর কাছে এসএসসির ফল হস্তান্তর জলাধার ঠিক রেখে স্থাপনা নির্মাণে প্রকৌশলীদের আহ্বান প্রধানমন্ত্রী দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে টেকসই কৌশল উদ্ভাবনের আহ্বান

ক্যারিয়ার গড়ার ভালো সুযোগ জার্মানিতে

আজকের পটুয়াখালী

প্রকাশিত: ১৬ নভেম্বর ২০২১  

জার্মানিতে কদর আছে ক্যারিয়ার গড়ার। দেশটিতে আন্তর্জাতিক মানের ডিগ্রির পাশাপাশি সময়োপযোগী পাঠ্যক্রম ও শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশের কারণেই এ সুযোগ আছে। তবে জার্মান ভাষা কারো কারো জন্য প্রধান প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাড়ায়। এ ভাষা রপ্ত করা শিক্ষার্থীদের আর পিছু তাকাতে হয় না। 

কোর্স কারিকুলাম, খণ্ডকালীন কাজ ও টিউশন ফি ছাড়া পড়ার সুযোগ এবং ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার গঠনের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ–সবকিছুতেই জার্মানি সেরা। 

আইইএলটিএস প্রস্তুতি জার্মানিতে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে পড়াশোনা হয় ইংরেজি ভাষায়। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বেশির ভাগ দেশের ক্ষেত্রেই এমনটা প্রযোজ্য। কাজেই ইংরেজিতে পারদর্শী না হলে স্বাভাবিকভাবেই কঠিন হয়ে দাঁড়াবে পড়াশোনা। 

আইইএলটিএস প্রসঙ্গে আরেকটা কথা বলতে চাই, এ পরীক্ষার ফলাফলের মেয়াদ থাকে দুই বছর। কাজেই আমি এমনভাবে পরীক্ষার সময় ঠিক করেছিলাম, যেন মেয়াদের দুই বছরে অন্তত তিনবার আবেদন করার সুযোগ পাই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয়, অর্থাৎ একটু বুদ্ধি খাটালেই আবেদনের সুযোগ তুলনামূলক বেশি পাওয়া সম্ভব। আইইএলটিএসে সচরাচর বাংলা মাধ্যমের শিক্ষার্থীদের বেশি ভুগতে দেখা যায়। ভোগান্তি দূর করতে বন্ধুদের সঙ্গে রিডিং, রাইটিং, লিসেনিং এবং স্পিকিংয়ের অনুশীলন করা খুব কাজে দেয়, ঠিক আমি যেমনটা সহায়তা পেয়েছিলাম।

আবেদনের প্রক্রিয়া

উইন্টারে সর্বোচ্চসংখ্যক আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী পড়তে আসে জার্মানিতে। এ ক্ষেত্রে একমাত্র ‘DAAD’ ওয়েবসাইটে সঠিকভাবে জার্মানির সবগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের আবশ্যিক শর্তাবলি ও আবেদনের সময়সূচি সম্পর্কে জানা যায়। মূলত দুই ধরনের আবেদনপদ্ধতি রয়েছে। যার মধ্যে একটি সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়ের পোর্টালে। দ্বিতীয়টি UniAssist সংস্থার মাধ্যমে। বিশ্ববিদ্যালয়ে সরাসরি আবেদনের ক্ষেত্রে পোর্টালে একটা অস্থায়ী অ্যাকাউন্ট খুলে তাদের শর্ত অনুযায়ী নথিপত্র আপলোড করতে হয়, আর দ্বিতীয় মাধ্যমটির বেলায় UniAssist ওয়েবসাইটে একটা অ্যাকাউন্ট খুলে ডকুমেন্ট আপলোড করার পাশাপাশি তাদের কাছে কুরিয়ারের মাধ্যমে নথিপত্র পাঠাতে হয়। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশে ডিএইচএল বেশ জনপ্রিয়। খরচ হিসেবে ৪ হাজার ২০০ টাকার কিছু কম বা বেশি নেয় তারা। এরপর নথিপত্রের সত্যতা ও জার্মান স্কেলে স্কোর যাচাই করে শিক্ষার্থীকে আবেদন শুরুর দিকনির্দেশনা দেওয়ার কাজটিও করবে UniAssist। প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের জন্য তারা হ্যান্ডেলিং চার্জ হিসেবে ৭০ এবং পরের প্রতিটি আবেদন বাবদ ৩০ ইউরো করে চার্জ করে। শিক্ষার্থীর নথিপত্র তারাই বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে পাঠাবে। আবেদনের শেষ তারিখ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ভেদে ৪-৬ সপ্তাহের মধ্যে ই-মেইলের মাধ্যমে কর্তৃপক্ষের মতামত জানা যায়।

ভর্তির সুযোগ

জার্মান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির প্রক্রিয়া বেশ স্বচ্ছ, স্বতন্ত্র এবং গোপন। অফার লেটার পাওয়ার পর ব্লক অ্যাকাউন্টে এক বছরের জীবিকা খরচ বাবদ জমা করতে হয় ১০ হাজার ৩৩২ ইউরো। এই টাকা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার পর প্রতি মাসে প্রায় ৮৫৬ ইউরো করে ফেরত পাওয়া যাবে। কোরাকল, ফিন্টিবা, এক্সপাট্রিও, ডয়েচ ব্যাংকে ব্লক অ্যাকাউন্ট খোলা যায়; তারপর দেশ থেকে ইস্টার্ন কিংবা সোনালী ব্যাংকের স্টুডেন্ট শাখা থেকে দ্রুত টাকা ট্রান্সফার করার সুযোগ রয়েছে। অফার লেটার পেয়ে অ্যাম্বাসিতে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে সবার আগে। আবেদনের পর সাক্ষাৎকারের সময় পেতে নয় মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে। বলে রাখা ভালো, একাধিকবার সাক্ষাৎকার দেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। কাজেই হতাশ হওয়ার কিছু নেই।