• রোববার ০৫ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২২ ১৪৩১

  • || ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের পটুয়াখালী
ব্রেকিং:
উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে কাজ করতে মন্ত্রী-এমপিদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর আমাকে সরিয়ে তারা কাকে আনবে? যে ২৫ জেলায় আজ স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকবে থাইল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারত্বের নতুন যুগের সূচনা হয়েছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে থাইল্যান্ড সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী ডিক্টেটর মিলিটারির পকেট থেকে বের হয়নি আওয়ামী লীগ দেশে এখন বেকারের সংখ্যা ৩ শতাংশ: প্রধানমন্ত্রী ‘বিলাসিতা একটু কমিয়ে শ্রমিকদের কল্যাণে নজর দিন’ চীন সফরে যাওয়ার আগে জুলাইয়ে ভারত সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী ছয় দিনের সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়লো আরও ৩ দিন সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর: শেখ হাসিনা কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে কাজ করতে হবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে

ঋতু পরিবর্তন ছোটদের সাবধানে রাখুন

আজকের পটুয়াখালী

প্রকাশিত: ১৯ অক্টোবর ২০১৯  

ঋতু পরিবর্তন মানেই সর্দি, কাশি, জ্বরের উপদ্রব। আবহাওয়া বদলের এ সময়ে জ্বরজারি বেশি হওয়ার পিছনে কিছু কারণ রয়েছে। ছোট-বড় সকলেই এই সময়টায় ভোগেন। 

এই সময়ে সর্দি, কাশি, গলা ব্যথা, ঘুষঘুষে জ্বর ঝেকে বসে। আর এ অসুখের জন্য ব্যাকটিরিয়া বা ভাইরাস দায়ী। আবহাওয়ায় তাপমাত্রা কমে যায় বলে কিছু ব্যাকটিরিয়া, ভাইরাস সক্রিয় হয়ে ওঠে। এদের দমাতে হলে চিকিৎসকের পরামর্শ প্রয়োজন। কারণ আপনার ব্যাকটিরিয়াল ইনফেকশন হয়েছে না কি ভাইরাল সেটা একমাত্র চিকিৎসকই বলতে পারবেন। দু’টির চিকিৎসা পদ্ধতিও আলাদা।

ছোটদের সাবধানে রাখুন- ইমিউনিটি পাওয়ার যেহেতু কম তাই ঋতু পরিবর্তনের ধাক্কাটা ছোটদের সবচেয়ে বেশি লাগে। যদি দেখেন শিশুর সর্দি-জ্বর হয়েছে, দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিন। নিজের ইচ্ছেমতো ওষুধ দেবেন না। অনেক অভিভাবকই পুরনো প্রেসক্রিপশন দেখে শিশুকে ওষুধ খেতে দেন। ভুল করেও এ কাজটি করবেন না। একমাত্র চিকিৎসকই বলতে পারবেন কেন শরীর খারাপ হয়েছে এবং তার জন্য কী চিকিৎসা প্রয়োজন। আপনার দেওয়া ওষুধে রোগের সাময়িক উপশম হয়তো হবে, কিন্তু তার সঙ্গে শিশুর অন্য ক্ষতিও হতে পারে।

অনেক বাবা-মা টেলিফোনে ওষুধ জিজ্ঞেস করেন। অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়ার অনুরোধ করেন। বাচ্চাকে পরীক্ষা না করে কোনো ডাক্তারের পক্ষে ওষুধ দেয়া সম্ভব নয়। তাই শিশু অসুস্থ হলে তাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান।আপনার শিশুর অ্যান্টি ফ্লু ভ্যাকসিন নেয়া থাকলে জ্বরজারির উপদ্রব খানিক কম হবে।

সর্দি, কাশি ছাড়া ডেঙ্গুর প্রকোপে এখনও মানুষ আতঙ্কিত। শুধু বর্ষা নয়, অক্টোবর-নভেম্বর মাসে আবহাওয়া বদলের সময়েও ডেঙ্গুও ছড়ায়। সন্তানকে সাবধানে রাখা ছাড়া উপায় নেই। তাকে বেশি করে ফ্লুয়িড দিন। এই সময়ে শিশুদের খুব একটা ডায়রিয়া দেখা যায় না। তবে সাবধানের মার নেই। তেমন কিছু হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতেই হবে।

হাওয়া বদলানোর সঙ্গে সঙ্গে বড়দেরও গলা ব্যথা, গা ম্যাজম্যাজ শুরু হয়ে যায়।যদি দেখেন হালকা জ্বর বা গায়ে ব্যথা করছে তখন প্যারাসিটামল খেয়ে নিতে পারেন। একশোর উপরে জ্বর হলেই প্যারাসিটামল খাওয়া যাবে এই তথ্যের কোনও ভিত্তি নেই। অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। ভাইরাল ইনফেকশন না কি ব্যাকটিরিয়াল, তা বুঝেই চিকিৎসক ওষুধ দেবেন। আমাদের শরীরে অনেক ভাল ব্যাকটিরিয়াও রয়েছে। ভুল অ্যান্টিবায়োটিকে তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

প্রতিকারের উপায় –
1) এ সময়ে শরীরে পানি প্রয়োজন। শরীর ডিহাইড্রেটেড হলেই গায়ে ব্যথা, মাথাধরা শুরু। সবাইকেই পানি খেতে হবে ভাল করে। ঠান্ডাতেও শরীর ডিহাইড্রেটেড হতে পারে।

2) রাতের দিকে একটু ঠাণ্ডা হাওয়া দেয়, ছোটদের বেশি পাতলা জামা পরাবেন না। গলাব্যথার ধাত থাকলে পাতলা স্কার্ফ জড়াতে পারেন।

3) ফ্রিজের ঠাণ্ডা পানি খাবেন না। এ সময়ে একবার ঠান্ডা লাগে তো একবার গরম। গলা ব্যথা হলে, গার্গল করুন, গরম পানীয় খান আর রাতে ঘুমোনোর সময়ে গলায় ঢাকা দিন। পাখা, এয়ার কন্ডিশনারের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখুন।

নিয়মিত ব্যায়াম অনেক রোগব্যাধি দূরে সরিয়ে রাখে। রোজ সকালে হালকা কিছু ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ় আপনাকে সুস্থ থাকতে সাহায্য।