• বুধবার ০১ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৮ ১৪৩১

  • || ২১ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের পটুয়াখালী
ব্রেকিং:
চীন সফরে যাওয়ার আগে জুলাইয়ে ভারত সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী ছয় দিনের সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়লো আরও ৩ দিন সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর: শেখ হাসিনা কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে কাজ করতে হবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি

সবদিক উম্মুক্ত এমন হাজার খেলার মাঠের সন্ধানে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়

আজকের পটুয়াখালী

প্রকাশিত: ২২ অক্টোবর ২০১৯  

কোনো বেষ্টনি নয়। থাকবে না কোনো গ্যালারি বা ছাউনি। সব দিক উম্মুক্ত থাকবে এমন এক হাজার খেলার মাঠের সন্ধানে নেমেছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। দেশের যুব সমাজকে খেলাধুলার সুযোগ বৃদ্ধি করে দেয়ার লক্ষ্যে পুরো দেশ থেকে এই মাঠ খুঁজে বের করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার।

যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল এমপি রোববার তার নতুন এ পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। এ জন্য প্রত্যেক সংসদ সদস্য ও জেলা প্রশাসককে চিঠি দেয়া হবে পরিত্যক্ত ও খেলার অনুপযোগী হয়ে থাকা মাঠ খুঁজে বের করে তা প্রস্তাব আকারে মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে।

প্রকল্প কবে নাগাদ শুরু হতে পারে? এ প্রশ্নের উত্তরে সাংবাদিকদের যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, ‘আমরা এ প্রকল্প নিয়ে ইতিমধ্যে তিনটি সভা করেছি। প্রস্তাবনা তৈরি করছি। সংসদ সদস্য ও জেলা প্রশাসকদের কাছ থেকে মাঠের তালিকা পেলে তারপর আমরা মন্ত্রণালয় থেকে জরিপ করে তালিকা চূড়ান্ত করবো।’

মাঠগুলো উপজেলাভিত্তিক করার চেষ্টা থাকবে মন্ত্রণালয়ের। ‘আমরা কোনো জায়গা কিনে নতুন মাঠ তৈরি করব না। যেখানে অব্যাহত মাঠ পাওয়া যাবে সেখানে মাটি ভরাট থেকে প্রয়োজনীয় সবকিছু করে দেয়া হবে। তবে মাঠ নেই; কিন্তু খাসজমি আছে। কোনো জেলা প্রশাসক এমন জায়গা দিতে পারলে আমরা সেটাকে মাঠে রূপান্তর করে দেবো’- বলেছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী।

জেলা প্রশাসক ও সংসদ সদস্যরা তালিকা পাঠানোর পর তা জরিপের জন্য মন্ত্রণালয় বিভিন্ন টিম করে দেবে। এক এক টিমকে দুটি জেলার দায়িত্ব দেয়া হবে। ‘আমাদের জরিপের প্রধান উদ্দেশ্য অনুপযোগী মাঠটি কতটা সংস্কার লাগবে তা দেখা। কারণ, আমরা নিচু মাঠ হলেও মাটি ভরাট করে দিতে পারবো; কিন্তু কোনো মাঠ যদি ১০ ফুট পানির নিচে থাকে সেটা করা যাবে না। কারণ বাজেটের একটা বিষয় আছে’- বলেছেন তিনি।

সব মাঠের কি একই আয়তন থাকবে? এমন প্রশ্নের উত্তরে সাংবাদিকদের তিনি জানান, ‘না। যেখানে যে মাপের মাঠ আছে সেটা সে মাপেরই হবে। কোনোটা বড়, কোনোটা ছোট হবে। মাঠের কোথাও কোনো ফেন্সিং বা বেষ্টনি থাকবে না। আমরা চিন্তা করছি, প্রত্যেক মাঠের চারদিকে ড্রেন ও ওয়াকওয়ে করে দেয়ার। তাতে মানুষ খেলাধুলার পাশাপাশি হাঁটাচলাও করতে পারবে’।

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের হাজার মাঠের প্রকল্পের কথা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও অবহিত করা হয়েছে বলে জানিয়ে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিষয়টি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে জানানোর পর তিনি সম্মতি দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এটা ভালো উদ্যোগ। আমরা মাঠ পর্যায়ে কাজ শুরু করে দিয়েছি। এখন মাঠের বিস্তারিত প্রস্তাবনা চাওয়া হবে জেলা প্রশাসক ও সংসদ সদস্যদের কাছে। ১০০০ মাঠ আমরা হয়তো একসাথে করতে পারবো না। ধাপে ধাপে প্রকল্পটি শেষ করবো আমরা।’

এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বাজেট কেমন হবে তা নির্ভর করছে কতগুলো মাঠ পাওয়া যাবে তার ওপর। ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, ‘পুরো বিষয়টা পরিষ্কার হবে জরিপের পর। কারণ, জরিপ করে আমরা দেখবো কোন মাঠে কি পরিমাণ কাজ করতে হবে। কি পরিমাণ টাকা লাগতে পারে। সেভাবে বাজেট তৈরি করা হবে।’

একাদশ জাতীয় সংসদের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সর্বশেষ বৈঠকেও এ প্রকল্প নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কমিটির সভাপতি ভোলা-৪ আসনের সংসদ সদস্য আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল বলেছেন, মন্ত্রণালয় প্রতিটি সংসদীয় এলাকায় তিনটি করে উম্মুক্ত মাঠ যেগুলোর চারপাশে ড্রেন ও ওয়াকওয়ে করে খেলাধুলার উপযুক্ত করে দেয়ার প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। প্রতিমন্ত্রী কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের পাশাপাশি আন্তর্জাতিকমানের ফুটবল ও ক্রিকেট স্টেডিয়াম নির্মাণের সবরকম প্রস্তুতি অনেক ধাপ এগিয়েছে বলেও সভায় অবহিত করেন।